আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার):
কাটিয়েছেন ১৭ বছরের দাম্পত্যজীবন। দাম্পত্যজীবনে শিকার হয়েছেন স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের। এর মধ্যেও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলেন, কিন্তু কোনোভাবেই স্বামীর নির্যাতন থেকে, হয়রানি থেকে রেহাই মিলছে না। একদিকে মানসিক নির্যাতন, এরপর তালাক দেওয়ার পরও বহুমুখী অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক স্বামী।

নির্যাতিতা নারীর নাম লুৎফুন্নেছা। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। লুৎফুন্নেছা একজন বেসরকারী চাকরিজীবি।

সাবেক স্বামী ফ্লাই এর সী স্পোর্টস (প্যারাসালিং) এ চাকুরিরত ।
জীবনযুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া লুৎফুন্নেছার সাবেক স্বামীর নাম নুরুল করিম (বর্তমানে মাদকাসক্ত)।
তিনি মহেশখালী ৫নং ওয়ার্ডের গোরকঘাটা দক্ষিণ ঘোনা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

২০০৫ সালে লুৎফুন্নেছার সঙ্গে বিয়ে হয় নুরুল করিমের। বিয়ের পর তাঁদের দুটি ছেলে ও এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে বড় ছেলে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
লুৎফুন্নেছা একটি বেসরকারী পরিচালনাধীন এনজিও সংস্থায় চাকুরি করেন।
সম্প্রতি সাবেক স্বামী নানা কারণে ফন্দি আকেঁন স্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করার জন্য।
এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় লুৎফুন্নেছা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ১৭ বছর পূর্বে নুরুল করিমের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।
দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে স্বামী নুরুল করিম প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাকে মারধর করতো ও আমার ছেলে-মেয়েদের ঠিকমত ভরনপোষণ না দিয়ে প্রায় সময় জগড়া-ঝাটিতে লিপ্ত থাকত। এক পর্যায়ে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিগত ২০১৮ সালের ১৩ আগস্টে স্বামী নুরুল করিমকে তালাক প্রদান করি। তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া আমার পৈত্রিক বাড়ির সামনে রাস্তার উপর দিয়ে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে আমাকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সাবেক স্বামীর কথায় প্রতিবাদ করলে আমাকে এলোপাতাড়ী কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। সাবেক স্বামী আমাকেসহ ছেলে-মেয়েদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। যে কোন সময় আমার ও পরিবারের ক্ষতিসাধন করতে পারে।
সাবেক স্বামীর রোষানল থেকে রেহায় পেতে এর প্রতিকার ও মুক্তি চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।